শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র করা গেলে কর্মজীবী মায়েরা তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিশ্চিন্তে পালন করতে পারবেন। শিক্ষিত ও দক্ষ নারীরা কর্মস্থলে প্রবেশ করতে উৎসাহিত হবেন। এতে করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালে কর্মস্থলে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। আজ রোববার মতিঝিলে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। 

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নারীবান্ধব উন্নয়ন ও নীতি-কৌশল বাস্তবায়নের ফলে গত এক যুগে সরকারি ও বেসরকারি আত্মকর্মসংস্থানসহ সব ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হারে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব কর্মজীবী নারীর সন্তানদের সুরক্ষা, শিক্ষা ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় বর্তমানে ১১৯টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিচালনা করছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নির্মিতব্য মহিলা কমপ্লেক্স ভবন এবং সব বৃহৎ ও সুউচ্চ সরকারি ভবনে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের ২০টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের আওতায় মতিঝিলের বিসিআইসি ভবনে এই ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। ৩ হাজার ৯০০ বর্গফুট আয়তনের এই শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে ৬০ জন শিশু সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত থাকবে। এ সময় শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, দুবার নাশতা ও দুপুরের খাবার দেওয়া হবে। শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রটিতে রয়েছে শিশুদের বিভিন্ন খেলনা ও সাংস্কৃতিক চর্চার সুবিধা। 

মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীনের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক সচিব ড . মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, প্রকল্প পরিচালক শবনম মোস্তারী ও ডে-কেয়ার অফিসার শমি হামিদসহ কর্মকর্তারা।

Catagory in:

Leave a Reply

three + 15 =